কিংস-আবাহনীর পরাজয়ের দিনে শেখ রাসেলের ড্র

ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে হারের পর প্রিমিয়ার লিগেও প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ময়মনসিংহে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির কাছে হেরেছে ২-১ গোলে। দেশের শীর্ষ ফুটবলে আবির্ভাবের পর এবারই প্রথম টানা দুই ম্যাচ হারল কিংস। টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর এই মৌসুমে লিগে প্রথমবার হারল অস্কার ব্রুজোনের দল।

এ দিন হেরেছে দ্বিতীয় স্থানে আবাহনীও। মুন্সিগঞ্জে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে মারিও লেমোসের দল। দুই দলের পয়েন্টের ব্যবধান এখনো দশ। ১৫ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট কিংসের। আর আবাহনীর পয়েন্ট ৩০। এদিকে পয়েন্ট তালিকার তিন ও চার নাম্বার দলের মধ্যকার লড়াইয়ে জেতেনি কেউই। ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় শেখ জামাল ধানমন্ডির সঙ্গে গোল শূন্য ড্র করেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। এই ড্রয়ের পরেও ১৪ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই আছে জুলফিকার মাহমুদের দল। এক ম্যাচ বেশি খেলে ২১ পয়েন্ট নিয়ে চারে মারুফুল হকের দল।

ময়মনসিংহে ম্যাচের ৩২ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বসুন্ধরা কিংস। দারুণ এক গোলে পুলিশকে এগিয়ে নেন এডুয়ার্দ মুরিও। প্রথমার্ধের বিবর্ণতা কাটিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরায় কিংস। ৪৭ মিনিটে রবসন রোবিনহোর দারুণ থ্রু পাস ধরে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন রাকিব হোসেন। তবে ৬২ মিনিটে আবারও এডুয়ার্দ মুরিও ঝলকে এগিয়ে যায় পুলিশ। এই গোলেই জয় নিশ্চিত হয় তাদের।

কিংস অ্যারেনায় শেখ জামালের বিপক্ষে হলুদ কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন না শেখ রাসেল অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া ও মিডফিল্ডার চার্লস দিদিয়ের। আর চোটের কারণে ছিলেন লিগে দশ গোল করা এমফন উদোহ। এই তিন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় না থাকায় তেমন গোছালো আক্রমণ সাজাতে পারেনি শেখ রাসেল। পুরো ম্যাচ জুড়েই তাদের অভাব অনুভূত হয়েছে। এরপরেও কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছে রাসেল। চতুর্থ মিনিটে প্রথমবার দারুণ সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন রাসেল ফরোয়ার্ড সুজন বিশ্বাস। কেনেথ ইকেচুকুর কাটব্যাকে ছয় গজ বক্সের ভেতরে বলে পা ছুঁয়াতে পারেননি এই তিনি।

রাসেলের আক্রমণের পালটা জবাব দেয় শেখ জামাল। নবম মিনিটে আক্রমণে ওঠে তারাও। সুযোগও তৈরি হয়েছিল কিন্তু কৌশিক বড়ুয়ার পাস বক্সের ভেতর সোলাইমান সিল্লাহ পাওয়ার আগেই তা ক্লিয়ার করে দেন আবিদ আহমেদ। ২৫ মিনিটে আরেকটি সুযোগ তৈরি করে শেখ জামাল। ওতাবেকের লম্বা ক্রস ধরে বক্সে ঢুকে পড়া স্টুয়ার্ট কর্নেলিয়াসের কোণাকুণি গতির শট ঝাঁপিয়ে ফেরান আশরাফুল ইসলাম রানা। তিন মিনিটে পরেই প্রতি আক্রমণে ওঠে শেখ রাসেল। ইব্রাহিমের বাড়ানো পাস ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের বলের নিয়ন্ত্রণ নেন নিহাত জামান উচ্ছ্বাস, কিন্তু তার শট দুরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলই তেমন পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৮ মিনিটে শেখ রাসেলের ত্রাতা হয়ে আসেন আশরাফুল ইসলাম। বক্সের কোণাকুণি থেকে কর্নেলিয়াসের গতির শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক। শেষ দিকে নিহাত জামান আরও একটি সু্যোগ নষ্ট করলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

Source: kalerkantho

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.