মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে শেখ রাসেলের ড্র

ম্যাচ জুড়েই সুযোগ তৈরি করল শেখ রাসেল কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার জালে বল পাঠাতে পারেনি তারা। শেখ রাসেলের আক্রমণ ঠেকিয়ে সুযোগ বুঝেই প্রতি আক্রমণে গিয়ে উলটো ভীতি ছড়ায় মুক্তিযোদ্ধা। শেষ পর্যন্ত হতাশার এক ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। আজ (শুক্রবার) গোপালগঞ্জে শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মধ্যকার ম্যাচ গোল শূন্য সমতায় শেষ হয়েছে।

দ্বিতীয় পর্বে এখন পর্যন্ত আট ম্যাচ খেলে শেখ রাসেল জিতেছে তিনটিতে, ড্র তিনটি ও হার দুটিতে। ১৯ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম অবস্থানেই আছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এগারোতম স্থানে মুক্তিযোদ্ধা। এতে অবনমন অঞ্চলেই থাকল দলটি। দ্বিতীয় পর্বে বদলে যাওয়া শেখ রাসেল আজ গোলের সুযোগ তৈরি করলেও মাঠের খেলায় ছিলনা ছন্দ। নিজেদের শেষ ম্যাচে বারিধারার জালে ৫ গোল দেওয়া শেখ রাসেলের খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা গিয়েছে বোঝাপড়ার অভাব। তাই পায়নি আজ গোলের দেখা।  

প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণাত্বক মনোভবে দেখা যায় শেখ রাসেলকে। টানা দুটি কর্নার আদায় করে গোলের সুযোগ’ও তৈরি করে। দ্বিতীয় মিনিটে রহমতের কর্নারে ইসমাইল আকিনাদে মাথা লাগালেও জাল খুঁজে পায়নি। ষষ্ঠ মিনিটে চার্লস দিদিয়েরের নেওয়া মাপা ফ্রিকিক ঝাঁপিয়ে দারুণ ভাবে আটকে দেন গোলকিপার রাজীব। ২১ মিনিটে শেখ রাসেলের রক্ষণ কাঁপায় মুক্তিযোদ্ধার বুরুন্ডিয়ান ফরোয়ার্ড সুদি আব্দুল্লাহ।

তেতসুয়াকি মিসাওয়ার বুদ্ধিতৃপ্ত পাসে রাসেলের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের কোণা থেকে সুদির নেওয়া গতির শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। পরের মিনিটেই সেরা সুযোগ নষ্ট করেন রাসেলের ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ জুয়েল। ইসমাইল আকিনাদের ডিফেন্স ছেড়া পাস অফসাইড ফাদ টপকে বক্সে বল পেয়ে যান জুয়েল কিন্তু পোস্টে শট নিতে বড্ড দেরি করে ফেলেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধার ডিফেন্ডার মেহেদি এসে স্লাইডিংয়ে আটকে দেন জুয়েলের শট।

২৭ মিনিটে রাসেলের জালে বল পাঠায় মুক্তিযোদ্ধার তেতসুয়াকি কিন্তু সহকারী রেফারি অফসাইডের পতাকা তোলায় গোল আর হয়নি। তবে রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে প্রতিবাদ জানায় মুক্তিযোদ্ধার খেলোয়াড়রা। যদিও তাদের প্রতিবাদে সাড়া দেয়নি রেফারি আনোয়ার হোসেন সাজু। এর ফলে প্রায় বারো মিনিটের মত খেলা বন্ধ থাকে। এতে প্রথমার্ধে ১৩ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়।

প্রথমার্ধের যোগ করা সপ্তম মিনিটে আবারও সুযোগ নষ্ট করে রাসেলের ফরোয়ার্ডরা। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন রিচার্ড গাডজে, তিনি ঠেলে দেন জুয়েলের উদ্দেশ্যে কিন্তু তার নেওয়া শট পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এসে আটকে দেন রাজীব।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও গোলের সুযোগ নষ্ট করেন জুয়েল। রহমত মিয়ার কর্নার দূরের পোস্টে তার হেড বাইরে চলে যায়। ৬৮ মিনিটে দারুন সেভে শেখ রাসেলকে রক্ষা করেন আশরাফুল রানা। বাম প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন নবাব, তার বাড়ানো পাসে গোলের সুযোগ তৈরি হয় কিন্তু সুদি আব্দুল্লাহর শট পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এসে ঠেকিয়ে দেন অভিজ্ঞ এই গোলকিপার।

তিন মিনিট বাদে শেখ রাসেলকে আবারও হতাশ করেন সেই জুয়েল। চার্লস দিদিয়েরের মাপা ক্রস গোলমুখে বলে পা লাগাতে পারেনি এই ফরোয়ার্ড। ফলে নষ্ট হয় গোলের সুযোগ। পরের মিনিটেই তাকে তুলে মান্নাফ রাব্বিকে মাঠে নামান জুলফিকার মাহমুদ। যদিও তা আর কাজে লাগেনি। বাকি সময়ে কোনো দলই পারেনি গোলের মুখ খুলতে। ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

Source: Kaler Kantho

 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.