শোক দিবসে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের দোয়া-কাঙালিভোজ বিতরণ
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু হত্যাকণ্ডের দিন সকালে মায়ের ডাকে ঘুম থেকে ওঠেন নারায়নগঞ্জ মিশন মোড়ের মাশরুদ আহমেদ। বাইরে বেরিয়ে দেখেন চারদিকে সুনশান নীরবতা, চাষাড়া মোড়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি।
আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) গুলিস্তানের শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সের সামনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া-মাহফিল ও কাঙালিভোজের আয়োজন করে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। সেখানে ৬৫ বছর বয়সী হোটেল শ্রমিক মাশরুদের সঙ্গে কথা হয় কালের কণ্ঠের।
দোয়া-মাহফিলের অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলিমুজ্জামান আলম, আবুল কাশেম, মীর মো. শাহাবুদ্দিন ও খলিলুর রহমান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল শেষে প্রায় ২০০ পথশিশু, ভিক্ষুক, ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে কাঙালিভোজের তবারক বিতরণ করা হয়।
ভয়াল সেই দিনের স্মৃতিচারণা করে মাশরুদ বলেন, সকাল ৯টায় মায় ঘুম থেকে তুইলা কয় শেখ মুজিবরে মাইরা ফালাইছে। চোখ-মুখ না ধুইয়া বাইরে যাইয়া দেহি কোন লোকজন নাই। এত নীরব আমি কোনোদিন দেখি নাই।
ওই দিনের বর্ণনায় তিনি আরো বলেন, চাষাড়া মোড়ে আর্মির গাড়ি। রেডিওতে কইতাছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। কারফিউ জারি করা হয়েছে, কেউ বাইরে বাইর হইবেন না। এরপর কত মানুষরে অত্যাচার করছে। পিটায়া প্যারালাইজ বানায়া দিছে।
Source: Kaler Kantho