স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস

রোমাঞ্চকর ফাইনাল জিতে স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। টাইব্রেকারে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল কিংস। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ২-২ গোলে সমতায় থাকার পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায়ও ছিল সমতা। এরপর টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে নেয় অস্কার ব্রুজোনের দল।

টাইব্রেকারে দুটি শট ঠেকিয়ে ম্যাচের নায়ক আনিসুর রহমান জিকো।

কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। গোল করেন মিগেল ফিগেইরা। রাসেলের অর্ধে ইয়াসিন খানের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার। নবম মিনিটে মিগেলের কর্নারে রেজা খানজাদেহের হেড ক্রসবারে প্রতিহত হয়। তা না হলে বাড়তে পারত ব্যবধান।

তবে সমতায় ফিরতে বেশি সময় লাগেনি শেখ রাসেলের। ১২তম মিনিটেই শেখ রাসেলকে ম্যাচে ফেরান এমফন উদোহ। গোললাইনের ওপর থেকে মনির আলমের তুলে দেওয়া বলে ছয় গজ বক্সের মধ্য থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন উদোহ।

৩২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় শেখ রাসেল। পেনাল্টি থেকে গোল করেন চার্লস দিদিয়ের। বক্সের মধ্যে এমফন উদোহকে ফেলে দেন কিংসের সাদ উদ্দিন। এতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। মধ্যবিরতিতে যাওয়ার আগেই সমতায় ফেরে কিংস। সফল স্পট কিকে কিংসকে ম্যাচে ফেরান রবসন রোবিনহো।

দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলই পারেনি কাঙ্ক্ষিত গোল করতে। কিংসকে বেশ কয়েকবার রক্ষা করেন আনিসুর রহমান জিকো। ৬৩ মিনিটে সোহেল রানার দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে আটকান তিনি। সুযোগ আসে কিংসের সামনেও; কিন্তু নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে পারেনি লক্ষ্যভেদ করতে। ৭৪ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন দরিয়েলতন গোমেজ। রেজা খানের কাটব্যাকে গোলমুখ থেকে শট নেন দরিয়েলতন; কিন্তু তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের  খেলায়ও সুযোগ তৈরি করেছে দুই দল। কিন্তু সেই সুযোগ থেকে পারেনি গোল করতে। ৯৫ মিনিটে আনিসুরের বীরত্বে আবারও রক্ষা পায় কিংস। অফসাইড ফাঁদ ভেঙে বক্সে ঢুকে পড়েন দিদিয়ের। কিন্তু তার নেওয়ার গতির শট এগিয়ে এসে আটকে দেন আনিসুর রহমান জিকো।

দুই মিনিট বাদেই আবারও কিংস রক্ষণে হানা দেয় শেখ রাসেল। বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে খালেকুজ্জামানের আচমকা শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন আনিসুর রহমান। অতিরিক্ত সময়ে খেলাতেও কেউ গোল করতে না পারায় ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই বাজিমাত করে বসুন্ধরা কিংস।

টাইব্রেকারে প্রথম চারটি শটেই কিংসের হয়ে গোল করেন রোবিনহো, দরিয়েলতন, রেজা খানজাদেহ ও আনিসুর রহমান। কিন্তু শেখ রাসেলের প্রথম শটেই গোল করতে ব্যর্থ হন সোহেল রানা। দ্বিতীয় শটে হেমন্ত ভিনসেন্ট সফল হলেও তৃতীয় শটে খালেকুজ্জামানকে আটকে দেন আনিসুর রহমান। এতেই শিরোপা উৎসবে মাতে বসুন্ধরা কিংস।

Source: kalerkantho

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published.