অবশেষে জয় দেখলো শেখ রাসেল
বিগ বাজেটের দল গড়েও বেশ কয়েক বছর ধরে কাঙ্খিত সাফল্য পাচ্ছিল না শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। এবারের অবস্থা আরো করুণ। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে প্রথম ম্যাচে মোহামেডানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করার পর দ্বিতীয় রাাউন্ডে প্রথম জয়ের দেখা পায় শেখ রাসেল। মাঝের আট রাউন্ডে জয়হীন ছিল ২০১২-১৩ মৌসুমে ট্রেবল জেতা ক্লাবটি। টানা ব্যর্থতায় কোচ সাইফুল বারী টিটুকে বরখাস্ত করে টিম ম্যানেজমেন্ট। চাকরী হারান ম্যানেজার ওয়াসিম ইকবালও। এরপর ভারপ্রাপ্ত কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর অধীনে টানা দুই ম্যাচ ড্র করে শেখ রাসেল। অবশেষে প্রিমিয়ার লীগের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেলো দলটি।
গতকাল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ২-১ গোলে হারিয়েছে নবাগত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে। প্রথমার্ধেই দুই গোল পায় শেখ রাসেল।
ঘরের মাঠে ম্যাচের ১১ মিনিটে শেখ রাসেল এগিয়ে যেতে পারতো। থিয়াগো আরমালের জোরালো শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। তবে দুই মিনিট পর ঠিকই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। রহমত মিয়ার কর্নারে জটলা থেকে মানিক মোল্লা দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন (১-০)। ২০তম মিনিটে মান্নাফ রাব্বীকে অবৈধভাবে বাধা দেন ডিফেন্ডার দিপু। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে আইজার আখমাতভ গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে শট নিয়ে ব্যবধান বাড়ান (২-০)। বিরতির পর স্বাধীনতা প্রায় একচেটিয়া প্রাধান্য বজায় রেখে খেলতে থাকে। ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে নদিরবেগের জোরালো শট গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন। ৭৬তম মিনিটে বল জালে জড়ালেও রেফারি মিজানুর রহমান গোল দেননি স্বাধীনতার পক্ষে। নদীরবেগের ফ্রি-কিক থেকে প্রথম শটেই গোল হয়। তা বাতিল করে দেন রেফারি। দ্বিতীয় শটটি ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। তৃতীয় দফার ফ্রি-কিক ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। ৮০তম মিনিটে আইজার আখমাতভ ডাবল হলুদে লাল কার্ড দেখেন। তারপরও ১০ জন নিয়ে স্বাধীনতা আক্রমণ অব্যাহত রাখে। অবশেষে তারা সফল হয় ম্যাচের যোগকরা সময়ে। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নদিরবেগ বুলেট গতির শটে স্কোরলাইন ২-১ করেন। তবে হার এড়াতে পারেননি স্বাধীনতা সংঘ। এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে শেখ রাসেল। সমান ম্যাচে স্বাধীনতা সংঘ আগের ৬ পয়েন্টে তলানিতেই অবস্থান করছে। এই ম্যাচের মধ্যদিয়ে চলমান পেশাদার লীগের প্রথম লেগ শেষ হলো। প্রথম লেগের ১১ ম্যাচ শেষে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। সমান ম্যাচে দুই নম্বরে থেকে আবাহনীর সংগ্রহ ২২ ও তিনে থাকা শেখ জামালের সংগ্রহ ২১ পয়েন্ট। ২১ পয়েন্ট নিয়ে গোল গড়ে পিছিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে আছে চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডান পাঁচে, ১৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ আছে টেবিলের ছয় নম্বর স্থানে। সাইফ স্পোর্টিংয়ের অবস্থান সাত নম্বরে।
Source: mzamin