জামাল ভূঁইয়া জানালেন খেলবেন আর্জেন্টিনাতেই
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে কথা দিয়েও আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের ক্লাব সোল দা মায়ামোর সঙ্গে তাঁর চুক্তি করার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে ফুটবলপাড়ায়। যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা চলছিল, সেই জামাল কিন্তু এত দিন চুপই ছিলেন।
অবশেষে দলবদল নিয়ে গতকাল সমকালের কাছে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ডেনমার্ক প্রবাসী এ ফুটবলার জানিয়েছেন, আগামী মৌসুমে আর্জেন্টাইন ক্লাব সোল দা মায়োমোতেই যাচ্ছেন। ‘আমি চেষ্টা করব আর্জেন্টিনা ক্লাবে যোগ দিতে। কারণ ওরা আমাকে ভালো অর্থের প্রস্তাব দিয়েছে। আমি মনে করি, আর্জেন্টিনা ক্লাবে খেলতে পারাটা হবে বড় পাওয়া। কারণ আর্জেন্টাইনরা ফুটবল-পাগল। তারা এখন ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর।’
চুক্তি বাবদ গত মৌসুমে ক্লাবের কাছে পাওনা ৭ লাখ ৫ হাজার টাকা। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র জামাল ভূঁইয়াকে এ পরিমাণ অর্থের চেকও দেয়। ঢাকা ছাড়ার আগে ক্লাব থেকে যে চেকটি দেওয়া হয়েছিল জামাল ভূঁইয়াকে, সেখানে টাকা জমা হওয়ার কথা ছিল ১২ আগস্ট। নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা না আসায় আবারও ক্লাবের দ্বারস্থ হন জামাল। তখন বলা হয় ১৪ আগস্ট টাকা জমা হবে। কিন্তু সোমবারও টাকা না পাওয়ায় ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জামাল। চেক বাউন্স হওয়ায় ক্লাব থেকে নাকি তাঁকে বলা হয়েছে বাংলাদেশে আসার পর দেবে।
ছুটিতে যাওয়ার আগে স্ট্যাম্প পেপার ও ক্লাব রুলসের একটি পেপারে সই করেন জামাল। আগের মৌসুম থেকে ২০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক কমিয়ে আলোচনার মাধ্যমে রাসেলেই থাকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন এ মিডফিল্ডার। সোল দা মায়োমা ক্লাবটি রাজধানীর বাইরে হওয়ায় বুয়েন্স আয়ার্সে চার দিন অবস্থান করে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন। যদিও শেখ রাসেলের কাছে পাওনা থাকায় চুক্তি নিয়ে নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন তিনি। তবে এতটুকু নিশ্চিত করেছেন আর্জেন্টিনার ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তিতে মাসে ১৫ লাখ টাকা পাবেন, আর চুক্তিটি ১৫ মাসের। তাঁর দাবি শুধু আর্জেন্টিনা নয়, ভারতীয় ক্লাব অ্যাথলেটিকো দ্য কলকাতা থেকেও প্রস্তাব পেয়েছিলেন।
জামাল ইস্যু নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে শেখ রাসেলের কর্মকর্তা ফখরুদ্দিন বলেন, ‘তিনি যদি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করেন, তাহলে আমাদের কী করার আছে? আমি যতদূর জানি, ডেনমার্কের নাগরিকরা সভ্য। আশা করি, সেই আচরণ করবেন তিনি। নিজের থেকে এসে আমাদের এখানে চুক্তি করেছেন। যেতে চাইলে তাঁকে আটকাব না। তবে সুন্দরভাবে চলে গেলেই হয়।’
বাংলাদেশে এসে সবকিছু পরিষ্কার করলে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান ফখরুদ্দিন, ‘তিনি বাংলাদেশে এসে কী বলতে চান আমরা দেখব। তিনি যদি দৃষ্টতা দেখান আমরা সহনশীল থাকব।’
জামালের চেক বাউন্সের অভিযোগের বিষয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘তারিখের আগের দিন তিনি চেক সাবমিট করার কারণেই তো চেক বাউন্স হয়েছে। আর এখন ফান্ড খালি। আমরা তাঁকে জানিয়েছি, এই সমস্যা হচ্ছে।’ ১৮ আগস্ট ঢাকায় আসার কথা জামালের।
Source: samakal